আবার এসেছে আশ্বিন –
আনুষঙ্গিক সবাই সংগে আছে
ভেজা ঘাস, শিউলি, ভোরের কুয়াশা
রোদ্দুরে শুকনো খড় আর …
কুমারের নরম সাদা মাটি ।
ইতিমধ্যে পুরনো হয়ে গেছে –
টাওয়ারের কণ্ঠায় ইস্পাত পাখির দাপদাপির কাহিনি,
থামছে সমুদ্র উপকূলে গাজা উপাক্ষ্যান –
হঠাত্ পথ ছেড়ে রেল, শূন্যে বাতাসে বা জলে
কু ঝিক ঝিক করতে করতে চলে গেল অনন্তের পথে ।
ভাগ্যিস সেদিন অপু দুর্গা দাড়িয়ে ছিল না
কাশবনের পাশে !
দেশীয় শান্তি বজায়ে বিরোধী নেতারাও বনধ ডেকেছিলেন ।
টেলিমোবাইল যোগে বেহেস্ত আর বৈকুন্ঠ সরগরম –
শ্রীহরি আর খোদাতালার অনুগামীরা
এ ওর বাধা এলাকায় ঢুকে
খেয়োখেয়ি আর বাদর নাচ করে জখম হচ্ছে অবিরত ।
অসময়ে বাতাসে নররক্ত দিয়ে হোলি উত্সব জমেছে-
অন্দর মহলের অজস্র কেচ্ছা
শাক দিয়ে সযত্নে মুড়ে
মন্ত্রীরা শান্তি সংঘের বিদেশী বৈঠকে বসছেন ।
পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু
ঢাকের বাদ্যি শুরু হয়েছে ততক্ষণে,
তৈরি মন্ডপে সাজসজ্জা, আলো, কল্কা, কলস-
সযত্নে লুকানো গেছে, উত্সাহী যুবাদের
শেষরাতের কারনবারি ।
স্বামী আর নিরীহ সন্তানদের সাথে
মা আসছেন
আনুষঙ্গিক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে –
ভেজা ঘাস শিউলি ভোরের কুয়াশা মাটি
খড়, রক্ত, গুলি, আর ধোয়ার সাথে –
এবারে আশ্বিনে !