Thursday, July 14, 2016

মেঘ অভিষেক


(প্রকাশিত: ব্যতিক্রম, জুন 2016 সংখ্যা, গুয়াহাটি)

বৈশাখী বৃষ্টিতে দৃষ্টি মেলে দিলে পেন্সিল ঘষা আকাশটা পুরোনো লাগে
মোম কাগজের মতো সবুজের জঙ্গল ধূসরতা নিয়ে আশ্চর্যময় জাগে
খুব কাছাকাছি তিনটি শালিখ মোহ ফাঁদে নেমে পতঙ্গ খুঁজে মরে
বৃষ্টি বাগানে ছাইরঙ ফুল দাপদাপি করে মন্দ্র মধ্য তাঁরে   
হৃদয় আয়নার গুড়ো গুড়ো কাঁচ ঝিলমিল করে রূপালী গ্রীষ্ম জলে
আবছায়া টুকু গাঢ়তর হয় – মেঘের মতো বৈশাখী বিকেলে

এক আকাশময় ধুসর ভাবনা সাদা কাগজে পেন্সিল-ঘষা কালো   
বৃষ্টির সঙ্গে নেমে এস ম্লান – আমার সঙ্গে অগস্ত্য যাত্রায় চলো !

সমুদ্র উল্লাস

(প্রকাশিত : ব্যতিক্রম এপ্রিল 2016 সংখ্যা, গুয়াহাটি )


এভাবেই জ্বলছে দাউদাউ আগুনে
শহরের পাপমাখা ঘর বাড়ি
ব্রহ্মতালু জ্বলছে বিবর্ণ নগরের
জল নেই? সব চোরা কারবারি !

ফুটপাথে ছড়ানো আধপোড়া মৃতদেহ
শ্যামলীমা নয়, শুধু গাছেদের লাশ
জ্বলুক তবে এই শহর, ঝলসে পুড়ুক
আমি শুনি দুকানে সমুদ্র উল্লাস !

জানলার তাতান শিক চেপে ধরে
ভাই তোর মনে আছে? অন্ধকার আগুন-
করবি আঁচল অগ্নি নদী হয়ে যায়
বোন পোড়ে, সেই সঙ্গে পোড়ে তার ভ্রূন !

আমি তুই সবে মিলে আগুনে ঝাপাব
বৃষ্টি জল পুড়ে সব হবে বাষ্পময়,
আমাদের অন্তজের অগ্নিময় দেহ
সমুদ্রের পরপারে শেষকৃত্য হয়

Tuesday, May 31, 2016

জলের মশাল



(প্রকাশিত : বজ্রকণ্ঠ জানুয়ারী 2017 সংখ্যা, ত্রিপুরা )
তাঁর হাত আগুনে পুড়েছে কতবার
তবু যন্ত্রনা ব্যক্ত করেনি কখনো
মাথা ছুঁয়ে এসেছে আকাশি ছাদ
নদী তীরের বালু মোহনায়
নাক বরাবর হেটেছে তাঁর ক্লান্ত পা !

দেশীয় সীমানা পেরিয়ে গেছে
তাঁর সন্ততিরা, সেই কবে এক নির্জীব ভোরে
অশীতিপর দৃষ্টি চলে গেছে
অপেক্ষাক্লান্ত মহাকাশ পর্যন্ত  -
প্রাচীন বটের শেকড় আর শ্যওলা জড়ানো
দুটি পায়ে , উত্তাপ হারিয়েছে ক্রমাগত !

রমজান শেষ । কাস্তের মতো তাঁর পূর্ণ চাঁদে
ভাঙ্গন ধরেছে !
তবু ধুসর আকাশে দৃষ্টি মেলে দেয় সে ।
নিকষ অন্ধকারে পথ খুঁজে চলে,
দলঘাস, ঝোপ-জঙ্গল পেরিয়ে সুদীর্ঘ সীমানায়
পোড়া হাতে উত্তোলিত থাকে
নিষ্কম্প উজ্জল – সদর্প অগ্নিময়
এক অনড়, উষ্ণ – জলের মশাল !




 

Sunday, January 3, 2016

কবির সঙ্গে মুখোমুখি

কখনো নীরবতাই শ্রেয় শুদ্ধ পরিপূর্ণ
প্রিয় কবির মুখোমুখি শরীর
বাইরে ঝমঝমে বৃষ্টির আবেশ । তবু আড়ষ্টতা

কবি কে বলা যায়, আপনার কবিতা খুব ভালবাসি
কারণ এর পর আর তৃতীয় সংলাপ থাকে না ।

তারচেয়ে ভাল অংধকরময় ব্যথায় কবির
প্রথম সংকলনের শেষ কবিতা পড়া ।
সেখানে নিরবতা মুখর হয় । কী অবলীলায়
একে একে খুলে যেতে থাকে দীর্ণতার পরত

আমি আর কবি একসাথে অবগাহন করি

অনন্ত চিদাকাশে । শুদ্ধতায় পরিপূর্ণতায়