আমার কথা মনে পড়লেই
বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস
বুক, মাথা আর পেট থেকে
বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস—
সোনারঙের দিনগুলো-শুয়োপোকার মতো
বেরিয়ে আসে চেতনার আকাশে!
আমি মাঠে খেলতাম, নদীতে নাইতাম
কাশেমচাচার বাড়ি যেতাম—
আমার বাড়ি নবীগঞ্জে
আমার বাড়ি আখাউড়ায়
আমার বাড়ি ছুটতে ছুটতে...ব্রাহ্মণবেড়িয়ায়!
রেজানুর, আমিনা, রুকুদের সাথে
ছুটতে ছুটতে হঠাৎ টুকরো টুকরো
তুলোর মতো ছড়িয়ে যেতাম পাবনায়, খুলনায়!
ঐখানে একটা ডোবা ছিল, ঐখানে রেলপথ
ঐখানে বিশালাক্ষ্মীর মন্দির, এইতো
ঈদ, এইতো নবান্ন...এখানে কাশেম
ওখানে নবারুণ। ঐখানে বাঁকা চাঁদ
ডুবে যাওয়া, জংলাঝোপ---শালডুংরি
ওখানেই খুব আবেগে আমিনাকে জড়িয়ে ধরা!
সেসব কথা মনে পড়লেই , বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস।
ফিঙে পাখিদের গা ডোবানো বুড়িগঙ্গায়
চিত সাঁতারে হারিয়ে যেতাম
আর বাঁশিতে হলুদ আকাশে ছড়িয়ে দিতাম বিষাদসুর
আমার বাড়ি তখন ঢাকায়! আমার বাড়ি বিক্রমপুর!
হঠাৎ দেখি মানুষগুলো কেমন যেন টুকরো মেঘে
হারিয়ে যাচ্ছে মাটির মানুষ, কান্না চাপায় ক্ষিদের বেগে।
ছড়িয়ে পড়ে মাটির মানুষ, টুকরো হয়ে রক্ত আকাশ
সেসব কথা মনে পড়লেই---
আর কিছু নয়, দীর্ঘশ্বাস!