স্বাগতম





------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
উজান সাহিত্য গোষ্ঠির আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সারাচিত কবিতা পড়ছি 21 শে ফেব্রূয়ারি 2019 ! উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যক এবং সমালোচক বাসব রায় , অনুবাদক অতুল শর্মা ! আমার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ "পোয়েটিক জানালায় কবিতার মেঘ" উন্মোচন হলো এখানে !

উজান পত্রিকা উন্মোচন মহালয়া ২০১৮  

স্বরচিত কবিতা পড়ছি উজান পত্রিকা উন্মোচনের আসরে । পাশে বসে আছেন অসমে বাংলা কবিতার বর্তমান প্রাণপুরুষ কবি সঞ্জয় চক্রবর্তী । ৭ অক্টোবর ২০১৮, শ্রীপুরিয়া কালিবাড়িতে 

FELICITAION by BHOJPURI SAHITYA SABHA, Tinsukia
Sri Sanjay Kishan, MLA, Tinsukia felicitated me on behalf of As
om Bhojpuri Sahitya Sabha, Tinsukia Samity, on 25 February 2018, at their Annual Conference and Pre-holi celebration at Durgabari Auditaurium Tinsukia.




তিনসুকিয়ায় নিখিল ভারতের কবি প্রণাম
    9ই মে, তিনসুকিয়া: সন্ধ্যায় হঠাত্‍ আসা ঝড় বৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে রবীন্দ্রানুরাগীরা এসে দুর্গাবাড়ির ত্রিতলে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের শাখা কার্যালয়ে উপস্থিত হলেন প্রানের উত্‍সব ২৫শে বৈশাখ পালনে এই বিশেষ দিনটিতে কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্থাটি তাঁদের একমাসব্যাপি রবীন্দ্র জন্মোত্সব পালনের কার্যসুচির শুভারম্ভ করল । স্বল্পসময়ের এই সুন্দর অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি ও রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করলেন তিনসুকিয়ার শিল্পীরা । সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন জীবনকৃষ্ণ সরকার, শতাব্দী গাঙ্গুলী, সঞ্জয় গুহ, রিংকু চক্রবর্তী, বর্ণালী চৌধুরী ও অন্যান্যরা । কবিতা পাঠ করে শোনালেন সৌমেন ব্যানার্জি ও নমিতা ঘোষ ।
   
এই উপলক্ষে গুয়াহাটির ভিকি পাবলিশার্স প্রকাশিত নীলদীপ চক্রবর্তীর কবিতার বই “পঁচিশ, কবি ও বৈশাখ” উন্মোচন করেন সংস্থার সর্বভারতীয় সহাধ্যক্ষ ড. কীর্তি রঞ্জন দে। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তিনসুকিয়া শাখার অধ্যক্ষ শংকর গুপ্ত, শিক্ষাবিদ পুলকেশ বোস ও অন্যান্য সভ্যবৃন্দ । লেখক এবং বইটির প্রচ্ছদ শিল্পী ত্রিদিব দত্তকে মঞ্চে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় । শেষে বই প্রকাশ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন শ্রী কীর্তি রঞ্জন দে, শংকর গুপ্ত ও নীলদীপ চক্রবর্তী।  সম্পুর্ন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সৌমেন ব্যানার্জি।                             
 

নিচে পড়ুন অধ্যাপক সুশান্ত করের লেখা একটি প্রতিবেদন :
আমাদের কবিতা নিয়ে বলবার, লিখবার আরেক সমালোচক তৈরি। উজানের আজকের অনুষ্ঠানে অন্যতম বক্তা ছিলেন Neeldeep Chakraborty. তাঁর বলবার বিষয় ছিল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাংলা কবিতা। তত্ত্বে তথ্যে সমৃদ্ধ একটি মনোজ্ঞ বক্তৃতা তিনি করেন। সঞ্চয় চক্রবর্তী,Debleena Sengupta, কমলিকা মজুমদার এমন গুটি কয় কবির বাছাই করা কবিতা দিয়ে তিনি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার কবিতা কেমন হচ্ছে আর কেমন হবে তার মূল সুরটি তুলে ধরেন। আশা করছি, নীলদীপের বক্তৃতা শীঘ্রই ঈশানের ব্লগে আপনারা পড়তে পাবেন।
তিনসুকিয়ার  ‘উজান সাহিত্য গোষ্ঠী’ জন্মলগ্ন থেকেই ২১শে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিনটি বহুভাষিক কবিতায়, কথায় এবং  গানে দিনটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে আসছে। এবারেও করেছে ‘দুর্গাবাড়ি’ প্রাঙ্গণে খোলা মঞ্চে । বিগত কয়েক  বছর ধরে  তাঁর সঙ্গে বিশেষ বিষয়-নির্ভর বক্তৃতানুষ্ঠানেরও আয়োজন করে আসছে এবারেও  তিন শিক্ষাবিদ আমন্ত্রিত হয়েছিলেন এই বক্তৃতা করতে। তার মধ্যে দুজনই কবি -- নিশা গুপ্তা এবং নীলদীপ চক্রবর্তী। নিশা হিন্দিতে কবিতা লেখেন, নীলদীপ লেখেন বাংলাতে।  দু’জনেই তিনসুকিয়ার বিবেকানন্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তৃতীয় আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন বিপিন বরা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং এখন অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল রৌফ। তিনি রাজ্য সরকারের ‘শিক্ষারত্ন’ পুরষ্কারেও সম্মানিত হয়েছিলেন। ছিলেন অসম সাহিত্য সভার তিনসুকিয়া জেলা শাখার সভাপতিও।
নিশা গুপ্তা
শুরু যদিও হবার কথা ছিল বিকেল আড়াইটায় প্রচণ্ড প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্যে লোকজন আসতে সামান্য দেরি হয়, ফলে অনুষ্ঠান শুরু করতেও হয় সামান্য বিলম্ব। কিন্তু শেষমেশ দর্শকাসন একটিও খালি পড়ে থাকে নি। শুরুতেই প্রদীপ প্রজ্বলন করে  এবং শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ‘উজান সাহিত্য গোষ্ঠী’র সহ-সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য।  তাঁর সঙ্গে যোগ দেন  অতিথি-ত্রয় সহ উপস্থিত সবাই। পাশাপাশি তখন চলতে থাকে  উদ্বোধনী সঙ্গীত ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি’ পরে পরেই বিরতি না দিয়ে চলতে থাকে ‘চিরচেনেহী মোর ভাষা জননী’ পরিবেশন করেন উজান সাহিত্য গোষ্ঠী এবং গীতিমঞ্জরীর  শিল্পীরা যৌথভাবে শিল্পীরা ছিলেন জীবন কৃষ্ণ সরকার, শীলা দে সরকার, বর্ণালি সেনগুপ্ত, শিল্পী চক্রবর্তী, প্রিয়া পাল, অঙ্কিতা মজুমদার, মিঠু মজুমদার , পাপিয়া বল, মঞ্জুরি ফুকন, নবনীতা দত্ত নেওগ, হীরামনি বরুয়া, জ্যোতি গোঁহাই এবং অন্যান্যরা। তবলাতে সঙ্গত করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
আব্দুল রৌফ
এর পরে অতিথিত্রয় নিশা গুপ্তা, আব্দুল রৌফ এবং নীলদীপ চক্রবর্তীকে ফুলাম গামোছা পরিয়ে সংবর্ধনা জানান উজান পত্রিকার মুখ্য সম্পাদিকা সবিতা দেবনাথ। উপসভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্যের স্বাগত ভাষণের পরে উজানের শিল্পীরা পরিবেশন করেন আরেকটি সমবেত সঙ্গীত “শুভকর্মপথে...” এর পরে বিভিন্ন ক্রমে ভোজপুরি কবিতা পাঠ করেন কৃষ্ণা উপাধ্যায়, অসমিয়া কবিতা পাঠ করেন হীরামনি বরুয়া,  ভাস্কর জ্যোতি চুতিয়া, রুনমী শর্মা, নবনীতা দত্ত নেওগ, বাংলা কবিতা পড়ে শোনান পার্বতী দেব, নিহারিকা দেবী, ভানু ভূষণ দাস, সবিতা দেব নাথ প্রমুখ। একটি অসমিয়া আধুনিক গান পরিবেশন করেন শীলা দে সরকার, বাংলা গান পরিবেশন করে কিশোরী শিল্পী পৌষালি কর এবং দুটি লোকগান পরিবেশন করেন বাবুল বিশ্বাস। 
নীলদীপ চক্রবর্তী
             নিশা গুপ্তার বলবার বিষয় ছিল ‘ভারতীয় ভাষাও পর গহরাতা সংকট’তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ভাষাগুলো বিপন্ন হলে শুধু সাহিত্যই বিপন্ন হয় না। সঙ্গীত নৃত্যাদি নিয়ে আমাদের সামগ্রিক সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব বিপন্ন হয়। তাই ইংরেজিভাষা আগ্রাসন নিয়ে আমাদের সচেতনভাবেই ভাবতে হবে। আব্দুল রৌফ বলেন ‘ বিভিন্ন ভাষা গোষ্ঠীর সংঘাত এবং সমন্বয়’ বিষয় নিয়ে বলেন। তিনি বলেন, আমরা নিজের ভাষাকে সবাই সম্মান করি, কিন্তু প্রতিবেশী ভাষা গোষ্ঠী তথা তাদের সাহিত্য সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা-উপেক্ষা করবার বুদ্ধিতে যেন না পেয়ে বসে। নীলদীপ চক্রবর্তীর বলবার বিষয় ছিল ‘ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাংলা কবিতা’তিনি অমলেন্দু গুহ, সঞ্জয় চক্রবর্তী, দেবলীনা সেনগুপ্ত, কমলিকা মজুমদারের বাছাই করা কবিতার নজির টেনে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার কবি এবং কবিতা ভাবনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এখানকার  কবিতা কেমন হচ্ছে আর কেমন হবে তার মূল সুরটি তুলে ধরেন। অতিথি তিনজনকে স্রোতা দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সুশান্ত কর।
       
বই বিক্রিতে দুই সম্পাদক



1 comment:

  1. আরে বাঃ এই মেঘের ভেলাটিরই ত প্রয়োজন ছিলো৷ নইলে মেঘগুলো হাওয়ায় কোথায় হারিয়ে যেতো খুঁজেই পেতাম না৷ যাক, এবার ইচ্ছে করলেই এই ভেলায় চেপে মেঘেদের সাথে কথা বলার, ওদের সাথে একটু সময় কাটাবার, এক পাকাপাকি সুযোগ পেয়ে গেলাম৷ আমার কূলে ত ভিড়লো, মাল্লার সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দেব বৈকি!

    ReplyDelete